কক্সবাজার, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের নিয়ে স্মৃতিচারণ করে শিক্ষার্থী কলাম

শিক্ষকের সম্মান

হে প্রানের প্রিয় শিক্ষকগণ
আপনাদের রাখবো স্মরণে আজীবন।
সুনাগরিক তৈরি করার উদ্দেশ্যে,
করেছেন অক্লান্ত পরিশ্রম।
তাই আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা সারাজীবন।

শিক্ষক শব্দের অর্থ, শি=শিষ্টাচার, ক্ষ=ক্ষমাশীল, ক=কর্তব্যপরায়ণ।

যাদের কাছ থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করে থাকি তারা আমাদের শিক্ষক। শিক্ষক হচ্ছেন দেশ ও জাতি গড়ার কারিগর। প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রথম শিক্ষক হয়ে থাকেন তার পিতা-মাতা। কিন্তু সকল প্রকার শিক্ষা আমরা তাদের কাছ থেকে পায় না তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য আমাদের পাঠানো হয় বিদ্যালয়/মাদ্রাসায় পরে ধাপে ধাপে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেখানেই আমাদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য পাঠানো হোক না কেন সেখানে অভিভাবকের ন্যায় নিযুক্ত থাকেন শিক্ষকগণ। আমরা নিজেরা কখনো সব কিছু আয়ত্তে বা শিখতে পারি না। তাই যোগ্যতাসম্পন্ন, বয়সে আমাদের বড়, সৎ, নিষ্ঠাবান ও কর্তব্যে অটুট এমন ব্যক্তিদের নিযুক্ত করা হয় শিক্ষার্থীদের পাঠ দান বা জ্ঞান দেবার জন্য।

মা-বাবার মতো শিক্ষক ও আমাদের আলোর পথ দেখায়।তারা আলোকবর্তিকার ন্যায়। শিক্ষকগণ সবসময় শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক বানাতে চান। দেশ ও দশের কল্যাণে নিয়োজিত করতে চান। বড়দের সম্মান, ছেটদের স্নেহ করতে শেখান। ভালো কাজে উৎসাহ, খারাপ কাজে নিষেধ করেন।একজন শিক্ষার্থীর সফলতার পিছনে তার শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য। তাই কেবল মাত্র শিক্ষক দিবস এই এক দিনে শিক্ষককে সম্মান না জানিয়ে বরং প্রতিটি দিনই শিক্ষক দিবসের ন্যায় শিক্ষকদের স্মরণে রাখা উচিত।

পরিশেষে বলি যাদের শিক্ষায় নতুনত্বের স্বপ্ন দেখে শিক্ষার্থীরা, যাদের প্রচেষ্টায় আলোকিত হয় ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন, তারাই দেশ ও জাতি গড়ার কারিগর,
তারাই আমাদের প্রাণের প্রিয় শিক্ষাগুরুজন,
শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকের প্রতি করলাম কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন।

লেখক:
উম্মে সালমা
শিক্ষার্থী- বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজ, উখিয়া।

পাঠকের মতামত: